দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ এখনও রহস্য সবার জন্য। এর পেছনেও এখন জমা নানা গল্প। গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের মাঝপথে অবসর নেন তখনকার অধিনায়ক তামিম। পরে সেটি ভেঙে ফিরে এলেও জায়গা হয়নি বিশ্বকাপের দলে। ওই টুর্নামেন্টের পর থেকে এখন অবধি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াননি তামিম। আদৌ আর জড়াবেন কি না- এই প্রশ্নে তামিম জানিয়েছেন অনেক কিছু ঠিক হতে হবে।
এজন্য বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনেকদিন ধরে বসার কথা রয়েছে তার। এর মধ্যে হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে তার ঝামেলাও অন্যতম। হাথুরু থাকতে কী তামিমের আবার ফেরা সম্ভব জাতীয় দলে? গতকাল শনিবার বিসিবিতে বোর্ড সভার পর এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। তিনি জানিয়েছেন, তামিম ফিরতে চাইলে হেড কোচ বাধা হওয়ার সুযোগই নেই।
এ সময় পাপন বলেন, ‘সম্ভব কি না এটা বোঝার জন্য আগে উনাদের সঙ্গে বসতে হবে। তামিমের সঙ্গে বসাটা জরুরি। সে জন্য বলেছি আগে তামিমের পরিকল্পনা শোনার জন্য। তার পরিকল্পনা জানলে আমরা সামনে অগ্রসর হতে পারব। হেড কোচের কথা যদি বলেন তার সঙ্গে আলাদা করে বসার কিছু আমি দেখছি না। তামিম যদি খেলতে চায় অবশ্যই খেলবে। এ ব্যাপারে আবার কোচকে জিজ্ঞেস করার কি আছে?’
তিনি বলেন, ‘কয়েকটা জিনিস আমি বলে রাখি। দল নির্বাচন চূড়ান্ত করা, যেটা বোর্ডের একটা কমিটি আছে, এটার দায়িত্ব ওদের। কে দলে থাকবে তারা ঠিক করবে। একাদশে কারা থাকবে সেটা আবার তারা ঠিক করে না। সেটা মূলত অধিনায়ক, সঙ্গে কোচেরও বড় মতামত থাকে। কোচ কে হবে, নির্বাচক কে হবে, অধিনায়ক কে হবে, এটা পুরোপুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত। এখানে অন্য কে কী বলল সেটা আমার সিদ্ধান্ত নিতে হয়তো সাহায্য করতে পারে, কিন্তু ওটাই করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সিদ্ধান্ত বোর্ডের। ’
তামিম ইকবালের সঙ্গে বোর্ড সভাপতির ভালো সম্পর্কের কথাও এসেছে। যদিও সিরিজের মাঝপথে তামিমের অবসর নেওয়ার অসন্তোষ এখনও কাটেনি পাপনের। এসব নিয়ে তামিমের সঙ্গে কথা বলতে চান বলেও জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক, এটা আমি মনে করি। কিন্তু আমি একা মনে করলে তো হবে না। তামিম যে একটা সিরিজের মাঝখানে একটা ম্যাচ খেলে খেলা ছেড়ে দিলো, ওটা যে কেন ছেড়েছে এটাই এখনো জানি না। প্রথম সমস্যাই যদি আমরা না জানি, তারপর কী হলো, না হলো এগুলো সমাধান দিতে পারবে না। ’
তিনি বলেন, ‘ওটা জানা দরকার। ও বলেছে বলবে। ওর কথাগুলো শোনা দরকার। কেন সে খেলা ছেড়ে দিয়েছিল। এটা আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। তারপর বিশ্বকাপের আগ মুহুর্তে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া। এই জিনিসগুলো আসলে আমরা ওর সঙ্গে কথা বলার পর আপনাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। ’
এদিকে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা বিসিবি সভাপতির বাসভবনের নিচে বসেই দিয়েছিলেন তামিম। তখন তার সঙ্গে আলাপ হওয়ার কথাও জানান। এ নিয়ে প্রশ্ন এলে পাপন বলেন, ‘আমাদের জানিয়ে দিলো অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবে। কিন্তু কেন কি এটা নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়নি।’ ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এর সঙ্গে যোগ করেন, ‘বলেছে অধিনায়কত্ব নেওয়া নৈতিকভাবে তার ঠিক হবে না। যেহেতু ইনজুরি। বিশ্বকাপের সব খেলা খেলতে পারবে কি না। এ কারণেই। ’